একুশ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম কারখানাটি শীর্ঘই চালু হতে যাচ্ছে। বাহির ও ভেতরে করা হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। বে-সরকারিভাবে উদ্বোধনের এমন খবরে খুশি সবাই। আর কর্তৃপক্ষ বলছেন নতুন করে কারখানাটি চালুর মাধ্যশে কর্মচাঞ্চলের পাশাপাশি দীর্ঘ দিনের আশা আকাংঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। 

লোকসানের অজুহাতে সরকারিভাবে বন্ধ করে দেয়া ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটির মুল ফোটকসহ বাহির ও ভেতরে করা হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি সম্পাদনের পর ভাড়া ভিত্তিতে বে-সরকারি উদ্যোগে এবার শীর্ঘই চালু হতে যাচ্ছে কারখানাটি।

দেড় যুগের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় বারের মত কারখানাটি চালুর লক্ষ্যে উৎপাদনে ত্রæটি এড়াতে কর্মকর্তা ও উদ্যোগতার সমন্বয়ে যন্ত্রাংশ পরিদর্শন করে ঠিকঠাকের পর উৎপাদনে শতভাগ উপযুক্ত করা হয়েছে। শাড়ি পাঞ্জাবি পর্দাসহ পনের ধরনের কাপড় উৎপাদনে এরই মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কারখানাটি চালুর উদ্যোগে যেমন ফিরবে কর্মসংস্থান। তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি এমন খবরে স্থানীয় চাষি, শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষসহ খুশি সবাই।

বেসরকারি উদ্যোগে চালু হলেও দীর্ঘ দিনের আশা আকাংঙ্খার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে বলে মত রেশম কারখানা কর্তৃপক্ষের।

তুত চাষি ও শ্রমিকরা জানান, বে-সরকারি উদ্যোগে হলেও কারখানাটি চালু হচ্ছে। এটা অত্যান্ত খুশির খবর নিয়মিত কাজ করতে পাবে শ্রমিকরা। চাষিরা আগে ভোগান্তির শিকার হতো। এখন হাতের কাছে কারখানা অনেক সুবিধা। আমরা চাই সবার সহযোগীতায় যেন কারখানাটি চালু থাকে।

ঠাকুরগাঁও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব রক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রধাণ জানান, এখানকার মানুষের প্রাণের সঞ্চার ঘটতে যাচ্ছে কারখানাটি পুনরায় চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে। আমরা রেশম বোর্ডে কর্মকর্তা কর্মচারিরাসহ সবাই খুশি। কারখানাটি চালু করা জরুরি হয়ে পরেছিল। যন্ত্রপাতিগুলো এখন ভাল থাকবে উৎপাদনের মাধ্যমে।

ঠাকুরগাঁও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্ররিচালক মোঃ মাহŸুব-উল-হক জানান, এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের আশা আকাংঙ্খার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে। কারখানাটি চালুর মধ্য দিয়ে। এ আনন্দ সবার। এখন কারখানাটি যেন বন্ধ না হয় সে বিষয়ে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

স্থানীয় উদ্যোগতা মোঃ বাবলুর রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও ব্যবসায় সফলতার লক্ষ্যে কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উৎপাদিত কাপড় বাজারজাতে প্রয়োজন সরকারের সহযোগীতা তাহলে আশা করছি কারখানাটি বন্ধের কোন সম্ভবনা থাকবে না।

রেশম উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে নির্মাণ করা হয় কারখানাটি। জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮১ সালে। পরে ২০০২ সালে তৎকালিন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেয় কারখানাটি।